ফরয সিয়াম পালন ছাড়াও এমাসে পসন্দনীয় অনেক ধরণের আমল রয়েছে। যার প্রত্যেকটিতেই রয়েছে অশেষ ও অফুরন্ত প্রতিদান। তম্মধ্যে নিম্নে কয়েকটি আলোচনা করা হলঃ
আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের পরিচয় বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ
وَالَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَقِيَامًا
এবং যারা স্বীয় প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজদা এবং দন্ডায়মান অবস্থায় রাত্রি যাপন করে। (সূরা ফুরকান- ৬৪)
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও প্রতিদানের আশায় রামাযান মাসের রাত্রে ক্বিয়াম করবে তার পূর্বকৃত যাবতীয় পাপরাশী ক্ষমা করা হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
রমজান মাসে এশা নামাযের পর তারাবীহ আদায় করা হয়। সাহাবীগণ দুই রাকাত করে পড়ার পর বিশ্রাম নিতেন, তাই এর নাম হয়েছে তারাবীহ। আর তারাবীহ অর্থ হলো বিশ্রাম নেওয়া।
দান সাদকার মাধ্যমে সম্পদ কমে না। বরং বৃদ্ধি হয়। নবী সা. বলেন, ما نقص مال عبد من صدقة সাদকার করলে বান্দার সম্পদ কমে না”। (তিরমিযি হা/২৩২৫)
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلِ تَمْرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلَا يَقْبَلُ اللَّهُ إِلَّا الطَّيِّبَ فإن اللَّهَ يَتَقَبَّلُهَا بِيَمِينِهِ ثُمَّ يُرَبِّيهَا لِصَاحِبِهِ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الْجَبَلِ “যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে খেজুর বরাবর বস্তু দান করবে। আর আল্লাহ্ পবিত্র বস্তু ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করেন না। তবে আল্লাহ্ উহাকে ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর উহা তার মালিকের জন্য বাড়াতে থাকেন যেমন করে তোমাদের একজন তার ঘোড়ার বাচ্চাকে (লালন-পালন) করে বাড়াতে থাকে- এমনকি তা পর্বত সদৃশ্য হয়ে যায়।” (বুখারী হা/১৪১০ ও মুসলিম হা/)
রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সবচেয়ে বড় দানশীল। আর রামাযান মাসে তিনি সর্বাধিক দান-খায়রাত করতেন। ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন: أَجْوَدَ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ রামাযান মাসে তিনি দানের ক্ষেত্রে দ্রুত গতি সম্পন্ন ঝড়ের চাইতে অধিক ক্ষিপ্র হতেন। (বুখারী হা/১৯০২ মুসলিম হা/৬১৪৯)
তাই এমাসে দান-সাদকা অন্য মাসের চেয়ে অনেক উত্তম। রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ صَدَقَةٌ فِي رَمَضَانَ
অর্থঃ রামাযান মাসের দান হচ্ছে সর্বোত্তম দান। (তিরমিযী হা/৬৬৩ হযরত আনাস থেকে)
দানের নিকটাত্মীয় গরিবদেরকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। কেননা তাতে সোয়াব বেশী। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, الصدقة على المسكين صدقة وهي على ذي الرحم ثنتان صدقة وصلة সাধারণ কোন মিসকীনকে দান করলে, শুধু সাদকার সোয়াব পাওয়া যাবে, কিন্তু রক্তের সম্পর্ক কোন নিকটাত্মীয়কে দান করলে দু’রকম সোয়াব পাওয়া যাবে। সাদকার সোয়াব ও আত্মীয়তার সম্পর্ক মজবুত করার সোয়াব (তিরমিযী হা/৬৫৮)
গরীব-মিসকীনদেরকে খাদ্য দান একটি পূণ্যময় কাজ। যারা একাজ করে আল্লাহ তাদের প্রশংসা করেছেন সূরা ইনসানের ৮-১২ নং আয়াতে। রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
أَيُّمَا مُؤْمِنٍ أَطْعَمَ مُؤْمِنًا عَلَى جُوعٍ أَطْعَمَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ ثِمَارِ الْجَنَّةِ وَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَقَى مُؤْمِنًا عَلَى ظَمَإٍ سَقَاهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنَ الرَّحِيقِ الْمَخْتُومِ
যে কোন মুমিন ব্যক্তি কোন ক্ষুধার্ত মুমিনকে আহার করাবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল ভক্ষণ করাবেন। আর যে কোন কোন তৃষ্ণার্ত মুমিনের পিপাসা নিবারণ করবে আল্লাহ তাকে রাহীকে মাখতূম তথা মোহরাংকিত সুধা পান করাবেন। (তিরমিযী সনদ হাসান)
রামাযান মাসে কোন রোযাদারকে ইফতার করানোর ব্যাপরে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لَا يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْئًا
যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, তার জন্য ঐ রোযাদারের রোযার পরিমাণ সওয়াব রয়েছে। এতে ঐ রোযাদারের সওয়াব থেকে কিছুই কম করা হবে না। (তিরমিযী হা/৮০৭ আহমাদ, হাদীস সহীহ)
এমাস হলো কুরআন নাযীলের মাস। তাই এমাসে দাওয়াতী কাজ করা সামর্থবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর আবশ্যক।
কারণ দেখা যায় অনেক মানুষ এমাস আসলে বেশী করে সৎকাজ করার চেষ্টা করে, জামাআতের সাথে নামায আদায় করার চেষ্টা করে।
অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে।
মানুষের অন্তর নরম থাকে। ছোট-খাটো মাসয়ালাগুলোও অনেক গুরুত্ব দিয়ে জানতে চায়।
রামাযানের পবিত্রতা রক্ষা করে অন্যায়-অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকে, গুরুত্ব দিয়ে নামায পড়ে, বিড়ি-সিগারেট প্রভৃতি খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্ত থাকে।
সুতরাং তাদের এই অনুভুতিগুলোকে কাজে লাগিয়ে তাদের মাঝে বেশী করে দাওয়াতী কাজ করা উচিত, যাতে করে রামাযানের পরেও তারা এসকল ভাল কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে পারে।
যেহেতু এ মাসেই পবিত্র কুরআন নাযীল হয়েছে তাই এমাস থেকেই পবিত্র কুরআনের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্ট করা সকলের উচিত। তা বেশী বেশী তেলাওয়াত করা, তা শিক্ষা দান করা, তার অর্থ অনুধাবন ও গবেষণায় মনোনিবেশ করা উচিত। ২/৩/৪/৫ বার খতম করার পরিকল্পনা করা উচিত। কমপক্ষে যেন ১বার যেন খতম দেয়া ছুটে না যায়।
জিবরীল (আ:) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে রামাযান মাসে প্রত্যেক রাতে কুরআন চর্চা করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
وَكَانَ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ জিবরীল (আ.) রামাদ্বান মাসের প্রত্যেক রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে সাক্ষাত করতেন এবং তাঁকে কুরআন পাড়াতেন। (বুখারী হা/১৯০২ মুসলিম হা/৬১৪৯)
সালাফগণ তথা পূর্ববর্তী পূণ্যাত্মাগণ বিশেষ ভাবে এমাসে কিতাবুল্লাহ্র গুরুত্ব দিতেন।
কোন কোন সালাফে সালেহীন রামাযানের প্রত্যেক তিন রাত্রে কুরআন খতম করতেন, কেউ সাত রাত্রিতে খতম করতেন, কেউবা দশ রাত্রিতে খতম দিতেন। তারা নামাযের ভিতরে ও বাইরে কুরআন পড়তেন।
তাঁরা কোনরূপ গবেষণা বা অর্থ অনুধাবন ছাড়াই কবিতা আবৃত্তির মত কুরআন আওড়াতেন না। বরং তাঁরা তার অর্থ অনুধাবন করে আল্লাহর কালাম দ্বারা প্রভাবিত হতেন এবং এর মাধ্যমে অন্তরকে নাড়া দিতেন।
অনেক মানুষ এমন দেখা যায়- সাধারণ ওয়াজ-নসীহতে কিচ্ছা-কাহিনী শুনে বা দলবদ্ধভাবে দুয়ার দুয়া মজলিসে বসে তা দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং ক্রন্দন করে, অথচ কুরআন পড়ে বা শুনে প্রভাবিত হয় না, ক্রন্দন তো দুরের কথা ক্রন্দনের ভাবও সৃষ্টি হয় না। নি:সন্দেহে ইহা কুরআনের প্রতি উদাসীনতার লক্ষণ। আর এর প্রধান কারণ হল, কুরআন ও তার মর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক রামাযানে দশ দিন ইতিকাফ করতেন, আর যে বছর তাঁর ইন্তিকাল হয় সে বছর তিনি বিশ দিন ইতিকাফ করেন। (বুখারী) এতিকাফ এমন একটি ইবাদত যাতে অনেক ধরণের ইবাদতের সামবেশ ঘটে, যেমন- কুরআন তেলাওয়াত, নামায, যিকর, দুয়া ইত্যাদি।
ইতিকাফের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় রামাযানের শেষ দশ দিন, যাতে লাইলাতুল ক্বদরকে অনুসন্ধান করতে পারা যায়। এটা একটি শরঈ নির্জনতা। কারণ ইতিকাফকারী নিজেকে আল্লাহর যিক্র ও আনুগত্যের মধ্যে বন্দি করে নিয়েছে। আর আল্লাহর পথে বাঁধা দানকারী যাবতীয় বিষয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, তার অন্তর ও শরীরকে স্বীয় প্রভূর উদ্দেশ্যে বেঁধে রেখেছে, আরো বেঁধে রেখেছে এমন আমলের উপর যা তাকে আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য করবে।
এমাসে ওমরাহ করার অনেক ফযীলত রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَقْضِي حَجَّةً أَوْ حَجَّةً مَعِي
অর্থঃ রামাযানে একটি উমরাতে একটি হজ্জের পূণ্য রয়েছে। অথবা বলেছেন, আমার সাথে একটি হজ্জ পালনের ছওয়াব রয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)
তাই আপনাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে হজ্জের পূণ্য লাভ হয় এমন উমরার প্রতি স্বাগতম জানাচ্ছি।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ (1) وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ (2) لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ
অর্থঃ নিশ্চয় আমি কুরআন অবতীর্ন করেছি একটি মহিমাম্বিত রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাম্বিত রজনী কি? মহিমাম্বিত রজনীটি হাজার মাসের চাইতে উত্তম। (সূরা ক্বদর ১-৩)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছাওয়াবের আশায় ক্বদরের রাত্রিতে ক্বিয়াম করবে, তার পূর্বকৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাইলাতুল ক্বদরকে অনুসন্ধান করতেন, তাঁর সাহাবীদেরকে এটি অনুসন্ধান করার আদেশ দিতেন। তিনি তাঁর পরিবারের লোকজনকে রামাযানের শেষ দশকের রাত্রিগুলোতে জাগিয়ে দিতেন যাতে করে তারা ক্বদর রজনীর মর্যাদা লাভ করতে পারে।
এ রাতটি রামাযানের শেষ দশকে থাকে আর তার মধ্যেকার বেজোড় রাত্রিগুলোতে থাকার সম্ভাবনা বেশী। আরো বেশী আশা করা যায় সাতাশের রাত্রিতে। ইমাম মুসলিম উবাই ইবনে কাব (রা:) থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন:
وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُهَا وَأَكْثَرُ عِلْمِي هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ
আল্লাহর শপথ! আমি জানি কোন রাতে লায়লাতুল ক্বদর হয়, আর আমার জ্ঞানে যা প্রাধান্য দেয় তা হচ্ছে সেই রাত্রিটি যাতে জেগে ইবাদত করার জন্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন- তা হচ্ছে সাতাশের রাত্রি। উবাই (রা:) শপথ করে বলতেন, যে নিদর্শন সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন যে সেই রাত্রির প্রভাতে সূর্য আভাহীনভাবে উদিত হবে (তা থেকেই আমি বলছি) এটা সাতাশের রাত্রি।
বিশুদ্ধ হাদীসে আয়িশা (রা:) থেকে এসেছে তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি লাইলাতুল ক্বদর লাভ করতে পারি তবে কি (দুয়া) বলব? তিনি বললেন: তুমি বলবে:
اللهُمَّ إنَّكَ عَفُوٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فاَعْفُ عَنِّيْ
হে আল্লাহ তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে তুমি ভালবাস তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও। (তিরমিযী)
সম্মানিত ভাই রামাযানের দিবস ও রজনীগুলো অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ সময়। তাই এ সময়গুলোকে বিশেষ করে দুয়া কবুলের মূহুর্তগুলোকে বেশী করে যিকর ও দুয়ার মাধ্যমে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন।
যে সকল সময়ে দুয়া কবুল হয়ঃ
* রামাদ্বান মাসের রাতে ও দিনে যে কোন সময়।
* বিশেষ করে ইফতারের সময়ঃ রোযাদারের জন্য ইফতারের সময় একটি মূহুর্ত রয়েছে, যখন সে দুয়া করলে তার দুয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না।
* রাতের শেষ তৃতীয়াংশঃ সে সময় আমাদের পালনকর্তা নীচের আকাশে নেমে আসেন এবং স্বীয় বান্দাদেরকে আহবান করতে থাকেন আর বলেন, আছ কি কোন প্রার্থনাকারী যাকে আমি দান করব, আছ কি কোন ক্ষমাপ্রার্থী যাকে আমি ক্ষমা করব....?
* প্রত্যেক আযানের পর থেকে নিয়ে ইকামতের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে।
* জুমআর দিনে দুয়া কবুলের সময়কে গুরুত্ব দেয়া। আর সে সময়টি দিনের শেষ ভাগে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।