প্রতিটি ইবাদাত মূলত তিনটি বুনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা-
❀ ১। ভালোবাসা
❀ ২। ভয়-ভীতি ও
❀ ৩। আশা-আকাংখা
ইবাদাত সম্পন্ন হওয়ার জন্য এই তিনটি বুনিয়াদ একত্রিত হওয়া একান্ত অপরিহার্য। আল্লাহ্ তা'আলা মু'মিনদের ইবাদাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেনঃ
يُّحِبُّهُمۡ وَيُحِبُّوۡنَهٗۤ
“তিনি (আল্লাহ্) তাদেরকে ভালোবাসেন এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসে।”- মায়েদা: ৫৪
তাঁর নাবীদের 'আলাইহিমুস সালাম ইবাদাতের বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ
إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ
“তাঁরা সৎকর্মে দ্রুতগতি সম্পন্ন ছিল, এবং আশা ও ভীতিসহকারে আমাকে আহ্বান করত। আর তারা ছিল আমার কাছে অত্যন্ত বিনীত।”- আম্বিয়া: ৯০
অর্থাৎ শরীয়াত সম্মত কোন কাজ ইবাদাত হতে হলে সে কাজে থাকতে হবেঃ
???? আল্লাহর কাছে প্রতিদান লাভের অফুরন্ত আশা ও
???? আল্লাহর প্রতি সত্য ভালোবাসা এবং
???? ভীতি বা ভীতিপূর্ণ বিনয়।
তবে বান্দার কাছে সর্বাধিক প্রিয় হতে হবে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা।
ইবাদাতে এই তিনটি বুনিয়াদের ভিন্নতা আছে এমন কিছু দলের পরিচয়ঃ
আশা ও ভালোবাসা ছাড়া শুধু ভয় নিয়ে ইবাদাত করে হারুরী/খারেজীরা। এই খারেজীরা এমন এক দল, যারা আলী (রাঃ) এর শাসনকালে তাঁর আনুগত্য থেকে মূখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তারা আলী (রাঃ)-কে কাফির বলে ফাতওয়া দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তাঁকে হত্যাও করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। বহু সাহাবীকে হত্যা করেছিল।
আশা ও ভয় ছাড়া শুধু ভালোবাসা নিয়ে ইবাদাত করে ছুফী/পীর তন্ত্রীরা।
ভালোবাসা ও ভয় ছাড়া শুধু আশা নিয়ে ইবাদাত করে মুরজিয়ারা।
✅ সবগুলো একত্রে নিয়ে ইবাদাত করে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারীরা এবং এরাই সঠিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।