এই প্রশ্নের উত্তর কি? প্রশ্নকারী যখন সয়ং আল্লাহ? আর প্রশ্নটি করছেন তিনি আমাকে, আপনাকে, আমাদেরকে, আমাদের সবাইকে! আল্লাহর প্রশ্নঃ
أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ
“তোমরা কি ধারণা করেছ যে, আমি তোমাদেরকে অযথাই সৃষ্টি করেছি? আর তোমরা আমার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে না?” (সূরা মু'মিনূনঃ ১১৫)
আল্লাহ তো কোন কিছুই অযথা সৃষ্টি করেন না! আল্লাহ আমাদেরকেও অযথা সৃষ্টি করেননি! তাই আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্যটা বলে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
“আমি জ্বীন এবং মানুষকে শুধুমাত্র আমার ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।” (সূরা যারিয়াতঃ ৫৬)।
তাই ‘ইবাদাহ’ এমন এক গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, যার সাথে আমাদের এই পৃথীবিতে আগমনের উদ্দেশ্য জড়িত! এটি আমাদের জীবনের সাথে যুক্ত, এটি আমাদের উভয় জীবনের সাথে সম্পর্কিত। আর তা হলো ইবাদাহ বা দাসত্ব!
শাব্দিক বা আভিধানিক অর্থ
ইবাদাহ (العبادة) মানে দাসত্ব বা গোলামী করা। এই কথাটির মধ্যে নিচুতা ও আনুগত্যের বৈশিষ্ট মিশে আছে।
এমন সকল কথা ও কাজ করাকে ইবাদাহ বলে, যা আল্লাহ পছন্দ করেন এবং এর প্রতি তিনি সন্তুষ্ট হন। চাই তা প্রকাশ্য হোক বা গোপন।